ফেসবুকের নিরাপদ ব্যবহারে পরামর্শ

13/01/2011 11:50

দিন দিন বেড়েই চলছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর ব্যবহারকারী। ব্যবহারকারী বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকির বিষয়টি। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিরাপদ বিচরণের জন্য বেশকিছু পরামর্শ প্রদান করেছেন। যা ফেসবুকে আপনাকে নিরাপদ রাখতে পারে। প্রথম পরামর্শ হচ্ছে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতা। ফেসবুকে যেকেউ আপনাকে বন্ধুর আমন্ত্রণ পাঠাতে পারে। কিন্তু সবাই কি বন্ধু? উত্তর নিঃসন্দেহে ‘না’। তাই নিজের গোপনীয়তার বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বন্ধু নির্বাচন করুন। একইসঙ্গে কাউকে বন্ধু তালিকায় যোগ করার আগে তার সম্পর্কে খানিকটা জেনে নিন। ফেসবুকে অনেকেই নিজের সঙ্গে যোগাযোগের সবকিছু দিয়ে দেন। মানে মোবাইল, ফোন, ই-মেইল এমনকি বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই অভ্যাস মোটেই ঠিক নয়। তাই যোগাযোগের অংশটি বন্ধ করে রাখাই সমাচীন। সেক্ষেত্রে সবাই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে ফেসবুক বার্তা সেবার মাধ্যমে। আর সেটাই যোগাযোগের নিরাপদ উপায়। অবশ্য একান্তই যদি, যোগাযোগের অংশ উম্মুক্ত করেত চান, সেটা শুধুমাত্র বন্ধুদের জন্য করুন। আগেই বলেছি ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় সবাই আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়। এদের কেউ হয়তো কিঞ্চিৎ পরিচিত, কেউ পারিবারিক সদস্য আবার কারো সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক। নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধুর তালিকাকে তাই আলাদা আলাদা বিভাগে ভাগ করে ফেলুন। এরপর এসব বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনমত নিরাপত্তা অপশন যোগ করেই দিলেই অনেকটা বেঁচে গেলেন আপনি। ফেসবুকে ছবি পাঠানো এবং অন্যের দ্বারা ট্যাগ হবার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। অনেকসময় দেখা যায় বিব্রতকর কিংবা অশ্লীল কিংবা অপ্রাসঙ্গিক কোন ছবির সঙ্গে আপনাকে ট্যাগ করে দিলো কোন বন্ধু। এরপর অন্যরাও তা দেখতে পাবে ট্যাগ এর বদৌলতে। তাই সম্ভব হলে নিরাপত্তা অপশনে গিয়ে ট্যাগ করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে আসুন। একইসঙ্গে আপনিও অপ্রয়োজনীয় ছবি ট্যাগিং থেকে বিরত থাকুন। বাড়তি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। ফেসবুকে আপনার ফটো অ্যালবাম কারা দেখতে পাবে বা কারা দেখতে পাবে না তা ঠিক করে দিন। এতে করে অপছন্দের কিংবা অপরিচিত কেউ আপনার ছবির দখল নিতে পারবে না। গুগল কিংবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন যেন আপনার প্রোফাইলে দেয়া তথ্য না পায় তা নিশ্চিত করুন। নিরাপত্তা সেটিংস একটু বদলে নিলেই সেটা সম্ভব হবে। ফেসবুক থেকে যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন অবশ্যই লগ আউট করে যান। মনে রাখুন, পাতাটিকে সরাসরি বন্ধ না করে লগ আউট করার পর বের হোন। এটাই অন্যতম পরামর্শ।